হার্ট অ্যাটাক এড়াতে পায়ের কাফ পেশির ব্যায়াম করুন
আপলোড সময় :
০৩-১০-২০২৪ ০৮:৫৮:২৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৪-১০-২০২৪ ১১:৩২:২৩ পূর্বাহ্ন
বাংলা স্কুপ, ৩ অক্টোবর:
হার্টের অসুখে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। তাই বিশেষজ্ঞরা সবাইকে হৃৎপিণ্ডের যত্ন নেয়ার পরামর্শ দেন। আর এই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে সবার প্রথমে বাইরের খাবার খাওয়া ছাড়তে হবে। এর পাশাপাশি করতে হবে কাফ পেশির এক্সারসাইজ। তাতেই হার্টের অসুখ দূরে থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
কিন্তু কাফ পেশির সঙ্গে হার্টের অসুখ প্রতিরোধের বিষয়টিকে গোলমেলে লাগছে? ঝটপট প্রতিবেদনটি পড়ে ফেলুন।
পায়ের কাফ পেশি বা গ্যাস্ট্রোক্নেমিয়াস এবং সোলাস পেশি রক্তকে হার্টে পাম্প করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই দু’টি পেশি সংকুচিত হলে পায়ে উপস্থিত কার্বন ডাই অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত হার্টে পৌঁছে যায়। তারপর হার্ট থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পায়ে নেমে আসে। এভাবেই পায়ের কোষগুলি বেঁচে থাকে। রক্তকে পা থেকে হার্টে পৌঁছে দেওয়ার এই কাজটি করা বেশ কঠিন। কারণ, শরীরের নীচের অংশ থেকে উপরের দিকে রক্ত পাঠাতে গেলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপক্ষে কাজ করতে হয়। আর কাফ পেশি দুর্বল হলে এই কাজটা ঠিকমতো করা সম্ভব হয় না। তখন রক্তনালীতে জমতে থাকে প্লাক। এমনকি প্রেশারও বাড়ে। বৃদ্ধি পায় হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ।
কাফ পেশির সংকোচন এবং প্রসারণের সময় তৈরি হয় নাইট্রিক অক্সাইড। আর এই উপাদান রক্তনালীকে শান্ত করতে সাহায্য করে। যার দরুন কমে ব্লাড প্রেশার। আর ব্লাড প্রেশার কমলে হার্টের উপর চাপ পড়ে কম। হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই চিকিৎসকেরা সকলকে কাফ মাসলের ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন। এই কাজটা করলেই হার্টের পাশাপাশি গোটা শরীরেরও উপকার হয়।
কাফ মাসল দুর্বল হলে হাঁটার সময় ব্যথা হতে পারে। আর সেই কারণে এক্সারসাইজ় করার ইচ্ছে চলে যায়। তবে আপনি যদি রোজ নিয়ম করে কাফ মাসলের এক্সারসাইজ. করতে পারেন, সেক্ষেত্রে এই পেশির জোর বাড়ে। হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয় না। এর পাশাপাশি অন্যান্য ব্যায়াম করার সময়ও সুবিধা মেলে। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন কাফ পেশির ব্যায়াম করার। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
একটা দেওয়াল ধরে চুপ করে দাঁড়িয়ে যান। এ বার দুই পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে পায়ের পিছনের দিক তুলে ফেলুন। এ ভাবে ২ থেকে ৪ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। তার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরুন। এই কৌশলে পরপর ১০ বার করুন। তাতে ১টা সেট হবে। আর প্রতিদিন এমন অন্তত ৪ সেট কাফ রেইজেজ করুন। তা হলে অনায়াসে কাফ পেশির জোর বাড়াতে পারবেন। তবে আপনি চাইলে এই ব্যায়ামের পাশাপাশি সিটেড কাফ রেইজেজ-ও করতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, শুয়ে বসে দিন কাটালে কাফ মাসলের জোর বাড়বে না। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটুন। চাইলে জগিং করতে পারেন, দৌড়াতে পারেন। তাতে কাফ মাসলের জোর বাড়বে। আর হাঁটা, দৌড় বা জগিং করার পর কাফ স্ট্রেচিং মাস্ট। তাতে কাফ মাসলের নমনীয়তা বাড়বে। ব্যথা-বেদনা হবে না। তবে এর পরও যদি যন্ত্রণা হয়, সেক্ষেত্রে জায়গাটায় বরফ সেক দিন।
ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স